একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের জন্য বিএনপির আসন চূড়ান্ত করা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পরও আসন বন্টন নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে একমত হতে পারেনি বিএনপি। বরং ঐক্যফ্রন্ট আল্টিমেটাম দিয়েছে, সম্মানজনক আসন বন্টন করা না হলে প্রয়োজনে তারা জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।
জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের জন্য বিএনপি ৫০টি আসন দিতে রাজি আছে। এই আসনগুলোর মধ্যে আবার ২৫টি আসন দেওয়া হবে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের এবং বাকি ২৫টি আসন দেওয়া হবে ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোকে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো নিজেরাই দাবি করছে ৬০টি আসন।
তবে এই সঙ্কটের দ্রুত সমাধান জবে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের দলে অনেক প্রার্থী। তাদের মধ্যে আসন বণ্টন করা কঠিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্টের শরিকরাও আছে। তবে এটা যে সমাধান যোগ্য নয়, এমনটা নয়। আশা করি, দুই-চার দিনের মধ্যেই শরিকদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানে পৌঁছা যাবে।
২০ দলের শরিকরা তাদের প্রত্যাশিত আসনের তালিকা জমা দিলেও ঐক্যফ্রন্টের তালিকা এখনো জমা পড়েনি। আর ঐক্যফ্রন্ট জানিয়েছে, ইশতেহার ঘোষণার পর হবে আসন নিয়ে আলোচনা।
বিএনপির কাছে তালিকা দিলেও পুরোপুরি তা মানতে হবে শরিকদের মনোভাব এমন নয়। আবার যত আসন চাওয়া হয়েছে এগুলোতে নিজেদের লড়াই করার সক্ষমতাও নেই বেশির ভাগ শরিক দলের। যে কারণে ‘দেনদরবার’ করার সুবিধার্থে বেশি আসন চাওয়া হয়েছে।
তবে তাই বলে, পুরোপুরি ছাড় দিতে নারাজ শরিকদের কেউ কেউ। ইতোমধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে যাতে বানরের রুটি ভাগাভাগির মতো অবস্থা না হয় সেই হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে জোটের অন্যতম শরিক এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ বলেছেন, ‘মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির নামে বানরের পিঠা ভাগ হবে না। যোগ্য ও জনগণের মনের মানুষেরই মনোনয়ন দেয়া হবে।’
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বসা হয়নি। আগামী সপ্তাহের যে কোনো দিন বসে সমাধানে আসা যাবে।’ এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘বিএনপির সাক্ষাৎকার শেষ হলো এখন এর আলোকে জোট শরিকদের সঙ্গে দুই এক দিনে মধ্যে বসার কথা শুনেছি। আশা করি, দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে।’
সূত্র: বাংলাদেরশ জার্নাল